ঢাকা ০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানের পানি বাড়িডা নিয়া গেল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বানের পানি মোর বাড়িডা নিয়া গেল। একটা বাঁশের খুঁটিও নাই। কিছুই বাঁচাবার পারি নাই। কোনোমতন স্কুলের ঘরটাত আছি। গরুলা রাস্তাত বান্ধে থুইচি। হাঁস-মুরগিলা ভাসে গেইছে।’- এভাবে কষ্টের কথা বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমাজান খোঁর ইউনিয়নের সুফিয়া খাতুন।

ঠাকুরগাঁওয়ে আকস্মিক বন্যার পরে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে বসতঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভেসে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না বানভাসি মানুষ। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং টয়লেটের অভাবে নানা সমস্যা নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের কিছু বানভাসি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ঠিক করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু পুনর্বাসনের জন্য নগদ অর্থ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষজন। অনেকে অর্থের কারণে বসতবাড়ি ঠিক করতে না পারায় গাছ তলায় বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে দিন পার করছেন।

সরেজমিন বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় পানি নামতে শুরু করায় বের হয়ে এসেছে ভাঙা ঘরবাড়ির স্তুপ ও ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাট। গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় ভেসে যাওয়া বাড়িঘরে মানুষ ফিরতে পারছে না।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী মাত্র কয়েক দিনের বন্যায় জেলার ৪০টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম ও ২০ হাজার পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনে আড়াই হাজার বসতভিটা সম্পূর্ণ ও ২০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরবর্তী অসহায় মানুষের ত্রাণ দেওয়া  অব্যাহত রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে,  সেগুলো দিয়ে দুর্যোগ পরবর্তী সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ঘরবাড়ি নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বানের পানি বাড়িডা নিয়া গেল

আপডেট টাইম : ০৫:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বানের পানি মোর বাড়িডা নিয়া গেল। একটা বাঁশের খুঁটিও নাই। কিছুই বাঁচাবার পারি নাই। কোনোমতন স্কুলের ঘরটাত আছি। গরুলা রাস্তাত বান্ধে থুইচি। হাঁস-মুরগিলা ভাসে গেইছে।’- এভাবে কষ্টের কথা বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমাজান খোঁর ইউনিয়নের সুফিয়া খাতুন।

ঠাকুরগাঁওয়ে আকস্মিক বন্যার পরে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে বসতঘর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভেসে যাওয়ায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না বানভাসি মানুষ। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং টয়লেটের অভাবে নানা সমস্যা নিয়ে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থান করছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের কিছু বানভাসি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ঠিক করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু পুনর্বাসনের জন্য নগদ অর্থ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষজন। অনেকে অর্থের কারণে বসতবাড়ি ঠিক করতে না পারায় গাছ তলায় বা অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে দিন পার করছেন।

সরেজমিন বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক এলাকায় পানি নামতে শুরু করায় বের হয়ে এসেছে ভাঙা ঘরবাড়ির স্তুপ ও ভেঙে যাওয়া রাস্তাঘাট। গবাদি পশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় ভেসে যাওয়া বাড়িঘরে মানুষ ফিরতে পারছে না।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী মাত্র কয়েক দিনের বন্যায় জেলার ৪০টি ইউনিয়নের ২ শতাধিক গ্রাম ও ২০ হাজার পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনে আড়াই হাজার বসতভিটা সম্পূর্ণ ও ২০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা পরবর্তী অসহায় মানুষের ত্রাণ দেওয়া  অব্যাহত রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে,  সেগুলো দিয়ে দুর্যোগ পরবর্তী সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ঘরবাড়ি নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হবে।